• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসীদের সুবিধা বাড়ানোসহ সিঙ্গাপুরকে যেসব আহ্বান জানালেন ড. ইউনূস


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম
প্রবাসীদের সুবিধা বাড়ানোসহ সিঙ্গাপুরকে যেসব আহ্বান জানালেন ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের ব্যয় কমাতে ও এখান থেকে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের সহায়তার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত ডেরেক লোয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। ঢাকায় তেজগাঁও কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশে প্রচুর অর্থ পাচার করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদের।

এ সময় রাষ্ট্রদূত লো সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

ড. ইউনূস বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর লক্ষ্যে ঢাকার সঙ্গে কাজ করার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “প্রবাসীরা যেন তাদের পরিবারের কাছে আরও বেশি অর্থ পাঠাতে পারেন, সে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার অভিবাসনের ব্যয় কমিয়ে আনতে চায়। আমরা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে নিয়োগের খরচ কমানোর জন্য একটি মডেল কাঠামো তৈরি করতে পারি।”

রাষ্ট্রদূত সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশকে বৈদেশিক নিয়োগ ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার পরামর্শ দেন। যাতে করে মানবপাচার ও শ্রমিক শোষণের আশঙ্কা কমে যায়। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি, শিপিং, শিক্ষা এবং নিজ নিজ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাত্র তিন মাসের মাথায় অর্থনীতি ভালোভাবে পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। এখন এ দেশে ব্যবসা করার উপযুক্ত সময়।”

সাক্ষাৎকালে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর ফ্রান্সিস চং বলেন, “বাংলাদেশ ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব করেছিল। প্রস্তাবিত এফটিএ-র ওপর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং উভয় দেশই এখন কীভাবে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করা যায়, তার সুযোগ নির্ধারণ করবে।”

এ ছাড়া ডেরেক লো জানান, সিঙ্গাপুর পানি শোধন এবং বর্জ্য শক্তি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তাদের দক্ষতা ভাগাভাগি করতে পারলে খুশি হবে। তিনি উভয় দেশের খাদ্য সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার প্রস্তাব করেন।

Link copied!