শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
মঙ্গলবার (৬ জুন) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। এর আগে সকালে আদালতে হাজির হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
আদেশের পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, “এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।”
এর আগে, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর-এর শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এই মামলা করেন। মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও শাহজাহান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে দেখা গেছে, যে ১০১ জন কর্মী-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিলো, তাদের তা করা হয়নি। তাদের জন্য কোনো অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির লাভের পাঁচ শতাংশও আইন মেনে শ্রমিকদের দেয়া হয়নি।
অভিযোগের ভিত্তিতে, শ্রম আইনের ৪, ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। গত ১২ অক্টোবর শ্রম আদালত চার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিন দেন। পরে ৭ ডিসেম্বর মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূস।
১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি মামলার প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। গত বছরের ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন অধ্যাপক ইউনূস।