• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অঝোরে কাঁদলেন ডা. দীপু মনি, যা বললেন বিচারক


জাহেদুল ইসলাম আরিফ
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৪, ০৭:১১ পিএম
অঝোরে কাঁদলেন ডা. দীপু মনি, যা বললেন বিচারক
সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত

আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে নীরবে কাঁদলেন সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রিমান্ড শুনানির আগে আদালতে হাজির করার সময় বিক্ষুব্ধ আইনজীবীসহ অনেককে ডিম হাতে দাঁড়িতে থাকতে দেখা যায়। এজলাসে নেওয়ার সময় কয়েকজন ডিম ছুঁড়ে মারলেও তা গায়ে লাগেনি দীপু মনির।

তবে এমন পরিস্থিতিতে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় সাবেক প্রভাবশালী এই মন্ত্রীকে। পরে এজলাসে নেওয়া হলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তার ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তখনও কেঁদে চলছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।

ছাত্র-জনতার মিছিলে মোহাম্মদপুরের মুদি দোকানি আবু সায়েদকে হত্যা মামলায় ডা. দীপু মনির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে, একই মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কেও আনা হয় আদালতে। এজলাসে দাঁড়ানোর প্রথমদিকে চুপচাপ থাকলেও কিছু বলতে চেয়েছিলেন জয়। তবে কথা বলার অনুমতি দেননি আদালত। জয়েরও ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সাবেক দুই মন্ত্রীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।

এসময় ডা. দীপু মনি ও আরিফ খান জয়ের পক্ষের আইনজীবী তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন ডা. দীপু মনির চার ও জয়ের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে সাবেক দুই মন্ত্রীকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়। সেখান থেকে সিএমএম আদালতের দুই তলায় ২৮নং কোর্টে তোলা হয়। এসময় দীপু মনি কাঁদছিলেন। তবে জয় ছিলেন চুপচাপ।

রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভিকটিমকে হত্যার ঘটনার বিষয়ে এ দুই আসামি জ্ঞাত আছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার ভিকটিমকে হত্যায় হুকুমদাতা, উসকানিদাতাদের নামসহ মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাপর আসামির নাম ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বারিধারা থেকে ডা. দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আরিফ খান জয়কে।

Link copied!