মেট্রোরেল চলাচল হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, মেট্রোরেলের প্রতিটি বগির দরজার পাশে লাল রঙের একটি বোতাম আছে। তার ওপরে নির্দেশনার একটি স্টিকারও লাগানো আছে। চালকের সঙ্গে কথা বলতে বাতিটি না জ্বলা পর্যন্ত বোতামটি চেপে রাখতে হবে।
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমস্যার কারণ জানিয়ে ট্রেনের ভেতরে ঘোষণা দেওয়া হয়। আবার ট্রেনের ভেতরের স্ক্রিনে (পর্দায়) সমস্যার কথাও জানানো হয়। এ ছাড়া ট্রেনের চালকের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীরা কথা বলতেও পারবেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো টেকনিক্যাল কারণে মেট্রোরেল থেমে গেলে যাত্রীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মেট্রোরেলে এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম বা ইএসএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ট্রেন যখন চলে এটি নিজে থেকে কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। চলাচলের সময় ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেম থেকে ব্যাটারিতে চার্জ হতে থাকবে।
ডিএমটিসিএল আরও জানায়, দুটি স্টেশনের মধ্যবর্তী কোনো স্থানে মেট্রোরেল থেমে গেলে, এটি নিজের রিজার্ভ বিদ্যুৎ দিয়ে কাছের স্টেশনে থামবে। এ ক্ষেত্রে সামনের স্টেশনেও যেতে পারে, আবার রিভার্স নিয়ে পেছনের স্টেশন যেটা, কাছে থাকবে সেখানেও যেতে পারে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার পর অটোমেটিক ডোরগুলো (দরজা) খুলে যাবে।
এ ছাড়া যদি জরুরি কোনো প্রয়োজনে মেট্রোরেলের অপারেটর বা চালকের সঙ্গে কথা বলতে হয় তাহলে, মেট্রোরেলের দরজার পাশে থাকা বিপদকালীন বোতাম চেপে কথা বলতে পারবেন যাত্রীরা। মেট্রোরেলের প্রতিটি বগির দরজার পাশে লাল রঙের একটি বোতাম আছে। তার ওপরে নির্দেশনার একটি স্টিকারও লাগানো আছে। আপৎকালীন কথা বলার বোতাম শিরোনামে স্টিকারটিতে লেখা আছে, বোতামের কাভারটি খুলুন। চালকের সঙ্গে কথা বলতে বাতিটি না জ্বলা পর্যন্ত বোতামটি চেপে রাখুন।
মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের চলাচল শুরু হয় ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। এর এক দিন আগে ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। আর গত ৫ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে যাত্রী চলাচল শুরু হয়। এরও এক দিন আগে ৪ নভেম্বর প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উত্তরা থেকে মতিঝিল ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।