রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবনে এখনো মানুষ আটকে পড়ে আছে কিনা তা খুঁজতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ডগ স্কোয়াড আনা হয়েছে।
বুধবার (৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিধ্বস্ত ভবনের পাশে একটি গলিতে দেখা যায়, র্যাবের কয়েকজন সদস্য ডগ স্কোয়াড নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন র্যাব সদস্য বলেন, “আমরা অনেকগুলো কুকুর নিয়ে এসেছি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন যখন চাইবে তখন এগুলো নিয়ে উদ্ধার কাজে যাওয়া হবে।”
র্যাবের ওই আরও বলেন, এগুলো মূলত ভবনের ভেতরে কেউ চাপা পড়ে আছে কিনা, কেউ বেঁচে আছে কিনা তা শনাক্ত করবে। মরদেহ থাকলেও শনাক্ত করবে। এর বাইরে যদি বিস্ফোরক জাতীয় কিছু থাকে তাও চিহ্নিত করার জন্য ডগ স্কোয়াড আনা হয়েছে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেইন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “আমরা লাইট রেসকিউ (হালকা যন্ত্রপাতি দিয়ে) অভিযান করছি। ডেড বডি লোকেট (শনাক্ত) করার জন্য র্যাবের ডগ স্কোয়াড আনা হয়েছে।”
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, “সেনাবাহিনী, সিটি করপোরেশন, রাজউকের ইঞ্জিনিয়ারদের সমন্বয়ে একটি কমিটি হয়েছে। বিল্ডিংটা ঝুঁকিপূর্ণ, এটাকে সাপোর্ট দিতে হবে। তারপর হেভি রেসকিউ এক্টিভিটিজ চালানো হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা, আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। দেয়াল ভেঙে এসে পড়ে রাস্তায়। বহু মানুষ উড়ে এসে রাস্তায় পড়েছেন। সড়কে থাকা বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোও। ভেঙে পড়েছে অনেক ভবনের কাঁচ। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত আশেপাশে থাকা সবাই হতাহত হয়েছেন।