দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের তথ্য বেরিয়ে আসে।
ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত কর্মচারীদের একজন হলেন বিপিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন। তিনি কোনো ওয়াক্তের নামাজ অবহেলা করেন না বলে দাবি তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের। এ বিষয়ে তিনি তার বাবার নামাজ পড়ার ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বাসিন্দা সৈয়দ আবেদ আলী জীবন একজন ড্রাইভার হলেও তার কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য সামনে আসছে। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরছেন নেটিজেনরা।
ঢাকার ভেতরে সৈয়দ আবেদ আলীর দুইটি বহুতল ভবন, মাদারীপুরে আলিশান বাড়ি রয়েছে এমন তথ্যও সামনে আসছে। যদিও এসব তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি সংবাদ প্রকাশ।
তবে সৈয়দ আবেদ আলীর ফেসবুক পেজে নিজের একটি হোটেলের তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি নিজেই। গত ১৮ মে এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমাদের নতুন হোটেল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। হোটেল সান মেরিনা, কুয়াকাটা।”
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত হচ্ছেন আবেদ আলীর ছেলে ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামও। যিনি মানুষকে সাহায্য করার ভিডিও প্রচার করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চড়েন দামি গাড়িতে। পড়াশোনা করেছেন দেশের বাইরে। তার ফেসবুকে দুইটা গাড়ির ছবি পোস্ট করেছেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৭০ ও ৪০ লাখ। তবে গাড়িগুলো তার নিজের কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফেসবুকে বাবা আবেদ আলীর একটি ছবি পোস্ট করে সিয়াম লেখেন, ‘আব্বু কুয়াকাটা গিয়েছিলো একটা ব্যবসায়িক সফরে, সেখানে স্থানীয় এক ছোট ভাই ছবিটি তুলে ইনবক্সে দিলো। সাধারণত আব্বু কোনো ওয়াক্তের নামাজ অবহেলা করে না, যখন যেখানে থাকে তখন সেখানেই পাক-পবিত্র জায়গা খুঁজে নামাজ আদায় করে নেয়। খুব সম্ভবত সৃষ্টিকর্তার প্রতি গভীর ভালোবাসা না থাকলে এটা সম্ভব নয়। আল্লাহ আমার বাবাকে কবুল করুক।’
তবে একজন গাড়িচালক কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন সেই প্রশ্নই করছেন নেটিজেনরা।