• ঢাকা
  • বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

কারামুক্ত হলেন আলোচিত মডেল মেঘনা আলম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
কারামুক্ত হলেন আলোচিত মডেল মেঘনা আলম

প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় ১৯ দিন কারাভোগের পর অবশেষে ছাড়া পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।

মেঘনা আলমের আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন কারামুক্তির তথ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিকালে মেঘনার জামিননামা কারাগারে পৌঁছায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন। তার বাবাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগের দিন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

পরে গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ মামলায় সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ‍‍`র আদালত নারী বিবেচনায় তাকে জামিনের আদেশ দেন।

এর আগে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করার তথ্য দেন মেঘনার আইনজীবী বাঁধন। সোমবার জামিনের পর তিনি বলেছিলেন, এতে করে তার মুক্তিতে আর বাধা নেই।

তবে কবে তার আটকাদেশ বাতিল করা হয় সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটকের আগে তিনি ফেইসবুক লাইভে এসে বাসার ‘দরজা ভেঙে পুলিশ পরিচয়ধারীরা’ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন। তাকে আটক করার পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরে ১৭ এপ্রিল রূপবতীদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় আদালতে তোলা হলে তিনি বলেছিলেন, কেবল সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই তার ‘প্রেমের সম্পর্ক’, অন্য কারও সঙ্গে নয়।

এ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মেঘনা আলম ও দেওয়ার সমিরসহ অন্যান্য আসামি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক/প্রতিনিধি ও দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে।

অভিযোগে বলা হয়, তারা অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থায় তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। এ মামলায় মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সমির রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!