বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল জরিপ (বিডিএস) চলছে। ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ নতুন ক্যাডাস্ট্রাল (ভূনকশা-ভিত্তিক) জরিপ চালাচ্ছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে ‘এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রকল্প বা ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় ছয়টি এলাকায় চলমান জরিপের প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম শেষ হবে। এই পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় আউটপুট নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে সারা বাংলাদেশে একযোগে বিডিএস প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হবে।
তবে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা, ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে বিডিএস কার্যক্রম চলমান।
ভূমির মালিককে যেসব কাগজপত্র রাখতে হবে
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতোমধ্যে যেসব এলাকায় বিডিএস কার্যক্রম চলছে, অথবা ভবিষ্যতে বিডিএস কার্যক্রম চলবে সেসব এলাকার জমির বা ভূমির মালিকদের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাছে রাখতে হবে। সেসব কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে জমির দলিল ও রেকর্ডীয় খতিয়ান। জমির নামজারি করা না থাকলে অতিদ্রুত জমির নামজারি সম্পূর্ণ করে রাখতে হবে। জমির খাজনা হালনাগাদ পরিশোধ করে রাখতে হবে।
পর্চা ও নকশা অনুযায়ী জমি মেপে রাখতে হবে। জমির সীমানা আইল নির্ধারণ করে রাখতে হবে। নিজের জমি নিজের দখলে রাখতে হবে। জমি ইজমালি ও পৈত্রিক সম্পত্তি হলে ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করে রাখতে হবে। প্রয়োজনে বণ্টননামা দলিল প্রস্তুত করে রাখতে হবে। দরকার হলে এওয়াজ বদল করে নামজারী করে রাখতে হবে।
জরিপের সময় কোনো জমির খাজনা দেওয়া না থাকলে জমি খাস হয়ে যাবে। তাই দ্রুত জমির খাজনা পরিশোধ করে রাখতে হবে। ভূমি মন্ত্রণালয় বলেছে, যাদের জমির দলিল/কাগজপত্র ও খাজনার দাখিল নেই তাদের জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য মন-মানসিকতা প্রস্তুত করে রাখতে হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, যেসব নাগরিক জমির কাছাকাছি থাকেন ,না তাদের তার এলাকায় বিডিএস কার্যক্রম কবে নাগাদ হতে পারে সে সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে। যারা এলাকার বাইরে থাকেন সেসব জমির মালিকদের জরিপ সম্পর্কে জানাতে ভূমি মন্ত্রণালয় কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। বিডিএস জরিপ কর্মকর্তাদের স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে জরিপ বিষয়ে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।