প্রতীক বরাদ্দের পর সারা দেশের মতো রাজধানীতেও জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরীর পাড়া-মহল্লা, অলিগলি ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে। চায়ের কাপে বইছে নির্বাচনী হাওয়া, আড্ডায় চলছে নানা রকমের গল্প।
নগরীর তেঁজগাও ও মোহাম্মদপুর এলাকা দুটি সংসদীয় ১২ এবং ১৩ আসনের আওতাভুক্ত। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা যে শুরু হয়েছে এসব এলাকার অলিগলি হাঁটলেই তা বোঝা যায়।
সরেজমিনে এসব এলাকায় দেখা যায়, সড়কের ওপরে ঝুলছে সুতোয় বাঁধা প্রার্থীদের পোস্টার। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাকে ঘিরে এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট, অলিগলিতে এখন সাজ সাজ রব। এরমধ্যে নৌকা মার্কা পোস্টারের আধিক্য থাকলেও পিছিয়ে নেই অন্য প্রার্থীরাও। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে তৈরি করা হয়েছে প্রার্থীদের অস্থায়ী কার্যালয়।
এসব কার্যালয়ে অবিরাম চলছে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সমাগম। অন্যদিকে কানে ভেসে আসবে প্রার্থীদের সমর্থনে বিভিন্ন সুরে গাওয়া নির্বাচনী গান ও নেতাকর্মীদের স্লোগান।
রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে। এতে বুঝা গেছে, নির্বাচনকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মনে যেমন তৈরি হয়েছে কৌতূহল, একইভাবে তৈরি হয়েছে কিছু প্রত্যাশাও।
তেঁজগাও সাতমাথা মোড়ে কথা হয় আব্দুল্লাহ নামের এক উবার চালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো ছিল। উন্নয়ন ভালো হয়েছে। তবে নিত্যপণ্যের বাজারটা এলোমেলো আর অস্থির ছিল। নতুন সরকার কে আসবে জানি না। যদি আওয়ামী লীগ সরকার আবার আসে তারা যেন নিত্যপণ্যের বাজারের দিকে একটু নজর বাড়ান। এটাই চাওয়া।”
রিকশা চালক নিজাম উদ্দিন বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের উন্নয়ন ভালো হইছে। ওপর দিয়া ট্রেন (মেট্রোরেল) এ আমলে দেখছি। নির্বাচন আইতাছে। সরকার কে আইব জানি না। যেই আসুক আমাগো গরিবের জন্য একটু যেন চিন্তা করে। জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। যা আয় করি তা দিয়া চলতে কষ্ট হয়।”
লাইকুর জামান নামের এক ব্যক্তি বলেন, “নির্বাচনী প্রচারণা ভালোই শুরু হয়েছে। সামনে নির্বাচন। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অনেক কাজ হয়েছে। নির্বাচনের পর যে সরকারই আসুক, তিনি যেন উন্নয়নের ধারা বর্তমান সরকারের মতো অব্যাহত রাখেন। এটাই প্রত্যাশা।”