নিন্দুকেরা নিন্দা করতেই থাকবে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পথচলা অব্যাহত রেখেই দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডি ২/এ রোডে ‘ধানমন্ডি আন্ডারগ্রাউন্ড ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তাপস বলেন, “নিন্দুকেরা নিন্দার কথা বলেই যাবে। যে যা-ই বলুক, যত রকম বিভ্রান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা করুক, জননেত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু তার লক্ষ্য থেকে একটুও সরে দাঁড়াননি। তার লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করে চলেছেন।”
নিন্দুকের নিন্দার মধ্যেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “নিন্দুকের নিন্দার মধ্যেই এমআরটির (মাস র্যাপিড ট্রানজিট) কাজ গতিশীলভাবে চলছে। অচিরেই এমআরটি চালু হবে। নিন্দুকের নিন্দার মধ্যেই কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল শুরু হয়ে যাচ্ছে। নিন্দুকের নিন্দার মধ্যেই আমরা ঢাকা শহরের এই তারের জঞ্জাল সরিয়ে ভূগর্ভস্থ তারের সংযোগে রূপান্তরিত করছি। নিন্দুকেরা নিন্দা চালিয়ে যাবে।”
নিন্দুকরা যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় থেকে যাবে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, “পরবর্তী নির্বাচনেও নিন্দুকেরা নিন্দার জায়গায় থেকে যাবে। আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করে যাবেন। ঢাকা এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।”
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নের লালিত সোনার বাংলা গড়ার দিকে বীরদর্পে এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডিএসসিসি মেয়র।
শেখ হাসিনা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করে চলছেন দাবি করে তাপস বলেন, “১৪ বছরের মধ্যে একটি দেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার নজির সারা বিশ্বে আর নেই। মালয়েশিয়া করেছে ২৫ বছরে, সিঙ্গাপুর করেছে ৩৫ বছরে। সুতরাং যাদের সঙ্গে পার্থক্য দেখানো হয়, সেসব দেশের অনেক আগেই অনেক অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন।”
পৃথিবীর অন্যান্য শহরের মতো ঢাকা শহরকেও ধীরে ধীরে তারের জঞ্জালমুক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, “ঢাকার সৌন্দর্য আমরা অনেকাংশেই উপলব্ধি করতে পারি না। কারণ, বিভিন্ন কারণে ‘ঢাকার সৌন্দর্য’ ঢাকা পড়ে যায়। সেই ঢাকা পড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি মূল উপাদান হলো তার।”
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, “শহরের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া বিদ্যুতের তার, অন্যান্য ইউটিলির তারের জঞ্জালের জন্য আমরা আমাদের সুন্দর ঢাকাকে উপভোগ করতে পারি না। কিন্তু আমরা যখন বহির্বিশ্বে যাই তখন বিমানবন্দর হতে বের হয়ে দেখি-একটি খোলা জায়গা, স্বচ্ছ জায়গা। কোনো তারের জঞ্জাল নেই, চোখে কোনো বাধা নেই। সে ক্ষেত্রে ওই শহরটিকে অনেক সুন্দর মনে হয়। একটা সুন্দর অনুভূতি উপলব্ধি হয়। আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা ঢাকা শহরের মাথার ওপরের তারের জঞ্জাল ভূগর্ভস্থে নিয়ে যেতে পারছি, নিয়ে যাব। তাই আজ আমরা আনন্দিত।”
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির অঞ্চল-১-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদসহ করপোরেশন ও ডিপিডিসির বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।