‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করছে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দিকে শোভাযাত্রা শুরু করে বিএনপি। এতে ঢল নামে নেতাকর্মীদের।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, “রাজপথে লাখো জনতার এই মিছিল দেশের স্বার্থরক্ষার মিছিল। নিজের অধিকার রক্ষার মিছিল। নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার রক্ষার মিছিল।”
শোভাযাত্রা শুরুর আগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে বিএনপি। সেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য দিয়েছেন।
নয়াপল্টন থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন মোড়, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে দিয়ে শাহবাগ মোড়, এরপর হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টাল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হবে।
শোভাযাত্রা কর্মসূচিতে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন। রংবেরঙের পোশাক পরে ঢোলবাদ্য বাজিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় একটি পিকআপ ভ্যানে করে অংশ নেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
এদিকে, শোভাযাত্রা শুরুর আগে থেকেই নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। এসব এলাকার সড়কগুলোতে যান চলাচল একেবারে কমে যায়। বিকেলে শোভাযাত্রার যেসব রুট ও স্পট নির্ধারণ করা হয় সেসব রুট, স্পটের আশপাশের সড়কে যান চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়।
অনেকে সড়কে বের হয়ে শোভাযাত্রার কারণে আটকে পড়েন। অনেক সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। যার প্রভাব পড়ে গোটা রাজধানীতেই। বিকেল থেকেই থমকে যায় গোটা রাজধানী।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম বড় পরিসরে শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালন করছে দলটি।