গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ’৭৫ সাল থেকে বারবার গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকতে পারেনি। রাজনীতি স্থিতিশীল থাকতে পারেনি। কাজেই বাংলাদেশ সেভাবে এগোতে পারিনি।”
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বাংলাদেশকে নিয়ে কী চিন্তা করে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক দেশ, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি, তাদের বক্তব্য ছিল—এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে? এটা ছিল তাদের ধারণা।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পর করোনার ধাক্কা, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে। আমরা যা করছি সব পরিকল্পিতভাবে করছি। আমাদের সরকার সব সময় গবেষণায় জোর দিচ্ছে। বিষয়ভিত্তিক গবেষণায় আমরা জোর দিয়েছি।”
করোনার ক্ষতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “করোনার সময় আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজানে এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে পণ্য দিচ্ছি। ভর্তুকি দিয়ে রমজানের পণ্য তাদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। মানুষের কষ্ট যখন দেখি, তখন তা কীভাবে লাঘব করব, সেই কাজ করছি।”
নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকে তখন বলেছিলেন বাংলাদেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব না। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করেছি। আমরা বলেছিলাম নিজেদের টাকায় সেতু করব। বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবে না। আমরা পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশ পারে।”
তিনি বলেন, “পদ্মা সেতু করতে গিয়ে আমাদের ওপর মিথ্যা অপবাদটা দেওয়া হয়েছিল, সেই মিথ্যা অপবাদ নিতে আমরা রাজি ছিলাম না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, পরে প্রমাণ হলো যে কোনো দুর্নীতি হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নয়নটা হয়েছে, সেটা আপনারা জানেন। অনেক বাধা আমাদের অতিক্রম করতে হয়।”