রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং উচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া দলীয় বিচারপতিদের অপসারণসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে সিটিজেন রাইটস মুভমেন্ট। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন, দুদক, মানবাধিকার কমিশন, পুলিশ বিভাগ সংস্কারসহ নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এসময় মহাসচিব তুসার রেহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ তুলনামূলক স্বদেশী শাসকদের দ্বারাই বেশি নির্যাতিত, শোষিত ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে। স্বদেশের শাসকরা রাজনীতি ও সেবকের ভূমিকায় এসে স্বৈরাচারী আচরণ করেছে। আর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে তারা জনগণের সেবক না হয়ে স্বৈরশাসক, ফ্যাসিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেছে।”
মফিজুল হক সরকার আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪ সালে তিনটি কলঙ্কিত নির্বাচন করেছে। এখন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় জনকল্যাণধর্মী কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৭ দফা দাবি তৈরি করেছি।”
দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সংবিধান সংশোধনসহ নতুন আইন ও বিধিমালা তৈরি করা, পুলিশ বাহিনীর সংস্কার করা, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করা, সরকার কর্তৃক উচ্চ আদালতে নিয়োগ করা দলীয় ও অনুগত বিচারপতিদের অপসারণ করা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং এক ব্যক্তি দুইবারের অধিক প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন বিধিবদ্ধ আইন করা।