• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন যুগোপযোগী করার দাবি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন যুগোপযোগী করার দাবি
সংবাদ সম্মেলন। ছবি : সংগৃহীত

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকপণ্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও কার্যকর বাস্তবায়নের অভাবে তামাক কোম্পানির কূটকৌশল ও চটকদার বিজ্ঞাপনের ফলে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দেশের তারুণ্য। তাই বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) যুগোপযোগী করে তরুণদের রক্ষার দাবি জানিয়েছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) শ্যামলিস্থ ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং সদস্য তাসনিম  হাসান ও নাসিম হাসান।

সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমান মোট জনগোষ্ঠীর ৪৮ শতাংশই তরুণ-তরুণী। তামাক কোম্পানির মূল টার্গেট কীভাবে এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে তামাকে আসক্ত করে ব্যবসা বাড়ানো যায়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উচিত তামাক কোম্পানির ছোবল থেকে তরুণদের সুরক্ষা প্রদান করা। তামাকাসক্ত অসুস্থ প্রজন্ম দেশের অগ্রগতির হাতিয়ার না হয়ে বরং সমাজ ও অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

সম্মেলনে বলা আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। টোব্যাকো অ্যাটলাসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ১০-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০১৪ সালে পরিচালিত গ্লোবাল স্কুল-বেজড হেলথ সার্ভে (জিএসএইচএস) অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৩-১৫ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৯ দশমিক ২ শতাংশ। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকপণ্যের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও কার্যকর বাস্তবায়নের অভাবে তামাক কোম্পানির লোভের মুখে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দেশের তারুণ্য।

স্বাগত বক্তব্যে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা জানান, তামাক কোম্পানির কূটকৌশল ও হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় এফসিটিসি আর্টিকেল ৫ দশমিক ৩ অনুসারে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্ত, ই-সিগারেটসহ সকল ভ্যাপিংপণ্য নিষিদ্ধ এবং তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধসহ আইনের অন্যান্য ধারার কঠোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

Link copied!