“যানজটে মানসিক যন্ত্রণা হয়,পারিবারেও এর প্রভাব পড়ে। প্রতিদিন যাওয়া আসা করতে হয় উত্তরা থেকে ফার্মগেট। জ্যামে পড়লে ১৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা । প্রতিদিনের পথে এখন সময় বাঁচবে। তাই নিজেকে ভাগ্যবতী নারী মনে হচ্ছে।” কথাগুলো বলেছেন কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তা সাইদুন নেসা হ্যাপী।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ী খেঁজুরবাগান এলাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিআরটিসি বাসে বসে কথা হয় তার সঙ্গে। আলাপের এক পর্যায়ে প্রফুল্ল মনে কথাগুলো সংবাদ প্রকাশকে বলেন এই নারী কর্মকর্তা।
এ দিন বেলা সোয়া ১১টায় রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির আটটি বাস নিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হয় বাস চলাচল। শাটল সার্ভিস হিসাবে সেবা প্রদানকারী এসব বাস চলাচল করবে খেঁজুরবাগান থেকে উত্তরা জসীম উদ্দীন উভয় দিক থেকেই। যা মাঝপথে কোথাও থামবে না, বা অন্য পথে ঘুরে যাবে না।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস চলাচলের এমন সুবিধা পাওয়ায় খুশি যাত্রীদের সকলেই।
জানা যায়, খেঁজুরবাগান থেকে উত্তরা জসীম উদ্দীন পর্যন্ত যাত্রায় একজন যাত্রীকে ৪০ টাকা গুনতে হবে। আর বিমানবন্দর পর্যন্ত গেলে ৩৫ টাকা।
অপরদিকে প্রতিটি বাসকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হবে ১৬০ টাকা। যাত্রীরা বলছেন, বাসের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
আরিফিন মান্নান নামে এক যাত্রী বলেন, “আমি উত্তরা থেকে ফার্মগেট আসলাম। কি যে শান্তি, বলে বোঝাতে পারবো না। ১৫ মিনিটে চলে আসলাম, ভাবতেই পারছি না। ঢাকা শহরে এমন হবে? সবকিছুই যেন স্বপ্ন মনে হচ্ছে। তবে আরেকটি বিষয় না বললেই নয়। বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বাসের জন্য অনেকক্ষণ বসে থাকতে হচ্ছে।”
মাহমুদুল হাসান নামের এক যাত্রী বলেন, “নীচ দিয়ে গেলে সময় নষ্ট। প্রায় একই পরিমাণ ভাড়া দিয়ে অল্প সময়ে যাওয়া যাচ্ছে। অবশ্যই এটা ভালো দিক। সত্যিই আনন্দিত আমি। এই সুবিধা পাওয়াতে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
খামারবাড়ী টিকিট কাউন্টারের ম্যানেজার সোহান কবির বলেন, “আজকে প্রথম বাস সেবা চালু হয়েছে। অনেকেই জানেন না এই সুবিধার কথা। তাই তুলণামূলক যাত্রী কম। তবে আমরা প্রত্যাশা করি সামনের দিকে যাত্রী আরও বাড়বে।”