• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজারে কমেছে চিনির সরবরাহ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
বাজারে কমেছে চিনির সরবরাহ

সরকার চিনির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপরও বাজারে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি করা প্যাকেটজাত সাদা চিনির কেজি কেউ কেউ ১৬০ টাকায় বিক্রি করা শুরু করেছেন। পরে দাম কিছুটা কমে এলেও এখনো বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়।

এদিকে দাম বাড়ানোর ঘোষণা প্রত্যাহার করার পর বাজারে অধিকাংশ কোম্পানি বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সাগর বলেন, “এর আগে যখন চিনির দাম বেড়েছিল, তখন খোলা চিনি বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছি। প্যাকেট চিনি বিক্রি করতাম। দুই দিন ধরে বাজারে প্যাকেট চিনি নেই। দাম বাড়বে বলে কোম্পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।”

পাইকারি ব্যবসায়ীরা চিনি সংকট দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কারওয়ান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার। তিনি বলেন, “কয়েকদিন ধরে চিনি ১৩৫ টাকায় কিনে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছি। গতকাল (২৫ ফেব্রুয়ারি) ১৪০ টাকা কেজি দরে চিনি কিনেছি। তাই বাধ্য হয়ে আজ ১৪৫ টাকায় বিক্রি করছি। চিনির সংকট না থাকলেও ওরা (বস্তা বিক্রেতা) চিনির সংকট দেখাচ্ছে।”

মুদি ব্যবসায়ী বাবুল বলেন, “খোলা ও প্যাকেট চিনির দাম একই রকম। দুইটাই ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছি। অন্যান্য বছর রমজানের আগে যেমন ক্রেতা থাকে এবার তার থেকে কম। তবে বাড়তি রেটের (দাম) চিনি এখনো বাজারে আসেনি।”

এদিকে রমজান সামনে রেখে চিনির দাম নিয়ে নিয়ে করাসাজি শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। একই সঙ্গে অনেক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সাবের নামের এক ক্রেতা বলেন, “চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়টি মোটেও মেনে নেওয়া যায় না। রমজানে চিনি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। সেমাই, শরবত আরও অনেক কিছুতে লাগে। আমার মনে হচ্ছে চিনির দাম আরও বাড়তে পারে। তাই আগেই চিনি কিনতে এসেছি।”

আলী আকবর নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “রমজানের আগে জিনিসপত্রের দাম বাড়তেছে আর চিন্তাও বাড়তেছে। চিনি, ডাল সব জিনিসের দাম বাড়ছে। সরকারের দৃষ্টি কবে পড়বে এদিকে তা জানি না। তবে মানুষ ভালো নেই।”

Link copied!