এক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় থেকে কেনায় ডলারের দাম কমবে ৫০ পয়সা। পাশাপাশি আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রিতেও দাম কমবে ৫০ পয়সা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনতে ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা, আগে যা ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, আগে যা ছিল ১১১ টাকা। তবে প্রবাসী আয়ে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারবে। ফলে প্রবাসী আয় পাঠালে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন উপকারভোগীরা।
ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময়ে সময়ে এই সংগঠন দুটি ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে। এ দুটি সংগঠন মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে তারা সময়ে সময়ে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এ দুই সংগঠন ডলারের দর নির্ধারণের দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন এই মুদ্রার দাম আগের তুলনায় কখনো কমানো হয়নি।