তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সে সময় (৮ আগস্ট) আমরা সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু জনগণ যদি মনে করে, এই সেটআপের পরিবর্তন প্রয়োজন, সেটা নিশ্চয়ই সরকার দেখবে।”
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।এটা আইনি সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।”
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজের অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে শিগগিরই একটি সিদ্ধান্ত আসবে। কারণ এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখন দেশের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা জরুরি। কেউ যেন এটাতে ব্যাঘাত না ঘটায় তা দেখছে সরকার।”
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে কেউ যাতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি না করে, সে ব্যাপারে জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণকে এ নিয়ে আর বঙ্গভবনের সামনে সমাবেশ করার প্রয়োজন নেই।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের মেসেজ সরকার পেয়ে গেছে যে, তারা এই রাষ্ট্রপতিকে আর চায় না। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “দেশের জনগণই আর চায় না এই রাষ্ট্রপতিকে। জনগণের মেসেজ সরকার বুঝতে পেরেছে। জনগণকে এ নিয়ে আর বঙ্গভবনের সামনে সমাবেশ করার প্রয়োজন নেই।”
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং দেশত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।
এদিকে সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনও দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘(পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।’
মূলত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পর থেকে তার পদত্যাগের দাবি তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃত্বদানকারীরা।