ঋণ একটি মানবাধিকার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “কারণ এটি মানুষের জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত। ঋণের অধিকার নিশ্চিত না করে আপনি জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।”
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর এক সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “প্রতিটি ব্যবসার জন্য অর্থ ও বিনিয়োগ প্রয়োজন। একজন কৃষক উদ্যোক্তা হতে পারেন যদি তাকে ঋণের সুযোগ দেওয়া হয়।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “কৃষক কেবল ফসল উৎপাদনই করেন না, বাজারেও বিক্রি করেন। যদি তাকে ঋণের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি অন্যান্য কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনে এবং বিক্রি করে নিজের জীবন উন্নত করতে পারবেন।”
ড. ইউনূস বলেন, “দেশগুলোকে গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল অনুসরণ করে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো উচিৎ, যাতে কৃষকের জন্য ঋণ সহজলভ্য করা যায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী থাকবে।”
অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর জেনারেল ইভোন পিন্টো বলেন, কৃষকদের কাছে ঋণ পৌঁছে দেওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ধানের উৎপাদন বেড়েছে।
ডাচ উদ্যোক্তা উন্নয়ন ব্যাংক এফ. এম. ও-এর পরিচালক জোরিম শ্রাভেন অধ্যাপক ইউনূসের ঋণের অধিকারের প্রতি যে নৈতিক সমর্থন জুগিয়েছেন তার প্রশংসা করেন।
সূত্র : বাসস