গাজীপুর কালিয়াকৈর এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারে দগ্ধদের আরও দুইজন মারা গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন দগ্ধ ইয়াসিন আরাফাত (২১) ও রাত সাড়ে ৯টায় মশিউর রহমান (২২) মারা যান। এ ঘটনায় এ নিয়ে ১৩ জন মারা গেল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ইয়াসিনের শরীরের ৬২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। আর মশিউরের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ঘটনাটিতে এখন পর্যন্ত ১৫ জন রোগী ভর্তি আছে।
মৃত ইয়াসিনের মামা মো. লিটন জানান, তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার গবুগ্রামে। বাবার নাম মো. আল আমিন। বাবা-মা পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে তেলিরচারা এলাকায় থাকতেন। ইয়াসিন একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করত।
মৃত মশিউরের ভাই সানোয়ার হোসেন জানান, তাদের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে। বাবার নাম হামিদুল মিয়া। স্ত্রী শাহানা আক্তারকে নিয়ে কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকতেন। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ঘটনার দিন গার্মেন্টসে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিল। বাসার সামনে জটলা দেখে সেখানে গেলে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়।
এর আগে গত ১৩ মার্চ বিকেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাসের সঙ্গে রান্না করা আগুনের সংস্পর্শ হয়। এতে হঠাৎই আগুন লেগে তা ছড়িয়ে গেলে ৩৬ জন দগ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে ৩২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ১৬ জনের শরীরে ৫০ ভাগের বেশি বার্ন ছিল। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল। অগ্নিদগ্ধদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছে।