ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে কলকাতায় পৌঁছেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল। সেখানে নেমেই স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ডিবি প্রধান।
কলকাতায় বিমানবন্দরে নেমে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, “বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বিদেশের মাটিতে কোথাও ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামানসহ যারা জড়িত সবাই বাংলাদেশি।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, “অপরাধ যেখান থেকে শুরু হয় এবং যেখানে শেষ হয় তদন্তের জন্য দুটি স্থানই পরিদর্শন করতে হয়। সে জন্যই এখানে আসা। যেহেতু এই কলকাতায় ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা এখানকার পুলিশের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে দুই দেশের পুলিশ নিজেদের মধ্যে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে। আপনারা জানেন, কলকাতা পুলিশের একটি দল ঢাকায় গিয়ে তদন্তের কাজ করেছে। আমরাও এসেছি ঘটনা সম্পর্কে আরও ভালো করে কীভাবে কাজ করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে।”
হারুন অর রশিদ বলেন, “ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অনুযায়ী, তদন্তকারী দলকে দুটি স্থানে পরিদর্শন করতে হয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩৬৪ ধারায় অপহরণের মামলা করা হয়েছে। মামলা অনুযায়ী, বাংলাদেশে খুনের পরিকল্পনা হয়েছে এবং কলকাতায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরে গুম করার জন্য এমপি আনারের মরদেহের টুকরো বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।”
হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে হারুন অর রশীদ বলেন, “পূর্ববঙ্গ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শিমুল বিশ্বাস তিনি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করেছেন। আমানুল্লাহ নামে তিনি ভারতে এসেছেন। তার কাছে অনেক তথ্য পেয়েছি।’
ডিবি প্রধান বলেন, “হত্যার তদন্তে কলকাতা পুলিশের সহযোগিতা পেয়েছি, আরও চাওয়া হবে। এছাড়া কলকাতায় হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে ডিবির টিম। এখনো মরদেহ পাওয়া না যাওয়ায় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে মরদেহ শনাক্ত কার্যক্রমেও অংশ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে কলকাতায় গ্রেপ্তার করা জিহাদ হাওলাদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে বাংলাদেশে পুলিশ।”
এর আগে রোববার (২৬ মে) সকালে কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে তিন সদস্যের টিম। দুপুর ১২টার দিকে কলকাতার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তারা।
তদন্ত টিমে রয়েছেন, ওয়ারি বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও এডিসি শাহীদুর রহমান।