এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে সারা দেশের রেল যোগাযোগ। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বন্ধের পর বুধবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত ঢাকা থেকে আর কোনো ট্রেন চলাচল করেনি।
রেলসূত্র বলছে, আন্দোলনের মধ্যে চলা সহিংসতার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বুধবার রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনমাস্টার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ও জয়দেবপুর ট্রেন চলাচল করবে। এগুলো লোকাল ও কমিউটার ট্রেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা নিয়ে বাকিগুলো হয়তো চালু হতে পারে।’
এর ফলে সীমিত আকারে স্বল্প দূরত্বের কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) থেকে বেশ কিছু লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচলা শুরু হবে।
এ সময়ে স্বল্প দূরত্বের লোকাল-কমিউটার ট্রেন চলবে। সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।
তিনি বলেন, শুরুতে কাল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টাঙ্গাইলসহ দেশের আরও বেশ কিছু রুটে ট্রেন চলবে। আর শুক্রবার (২৬ জুলাই) থেকে আন্তনগর ট্রেন চালু হতে পারে। যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকলেও মালবাহী ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল চালু আছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মহাখালী ও নাখালপাড়া এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। তাদের অবরোধের কারণে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে সরকার গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার।
গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে কারফিউ শিথিলের সময়সীমা। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল।