ঘূর্ণিঝড় মোখার সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৩ মে) রাত আড়াইটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরে বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২২০ কিলোমিটার গতিতে গেলে তখন সেটিকে সুপার সাইক্লোন বলা যাবে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব উপকূলীয় এলাকায় পড়তে শুরু করেছে। এটি রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করবে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।