সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে চলতি সপ্তাহে। যা রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এমন পূর্বাভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, আগামী সোমবারের পরে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেই লঘুচাপটির ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, আমরা ধারণা করছি সাগরে যে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও এখনই সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, চলতি মৌসুমে শুক্রবার (১৭ মে) দ্বিতীয়বারের মতো ‘হিট অ্যালার্ট’ ঘোষণা করে আহবাওয়া অধিদপ্তর। তবে দিনগত রাতেই অনেকটা ঠাণ্ডা হাওয়ায় গরম কমে সহনীয় অবস্থায় চলে এসেছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবারের বর্ষা মৌসুম শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।
চার বিভাগে ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি থাকলেও এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিলেন আবহাওয়াবিদরা। তবে হিট অ্যালার্টের মধ্যেই আবার শনিবার (১৮ মে) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘলা থাকায় নেই প্রখর রোদ। বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় গেল চার দিন অস্বস্তিকর গরমের পরে প্রায় সারা দেশেই কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা।
শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হযেছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে। সেখানে তিন ঘণ্টায় আট মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া নরসিংদী ও নেত্রকোণায় পাঁচ মিলিমিটার, টাঙ্গাইল ও শ্রীমঙ্গলে দুই, সিলেট ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে এক মিলিমিটার এবং চুয়াডাঙ্গা সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ঝড়ের পূর্বাভাস
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া, বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া একই দিক থেকে ঢাকা, মাদারীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বয়ে যেতে পারে।
নদী বন্দরে হুঁশিয়ারি সংকেত
যেসব এলাকায় ঝড়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে সেসব এলাকায় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে নৌ বন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পুরো এপ্রিলজুড়েই তাপদাহের পরে মে মাসের শুরুতে টানা বৃষ্টি স্বস্তি এনে দিয়েছিল। তবে এরপরই ফিরে আসে তাপপ্রবাহ। গত ১৪ মে আটটি জেলায় তাপদাহ শুরুর পরদিন ৪৮ ঘণ্টার তাপদাহ সতর্কতা ঘোষণা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।