দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে কাস্টডি ওয়ারেন্ট (কারা পরোয়ানা) জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬’র বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ধার্য ছিল। মির্জা আব্বাস শাহজাহানপুর থানার একটা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন বলে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়েছে। এরপর তাকে আগামী ৫ নভেম্বর আদালতে হাজির করতে কারা পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এদিন এ মামলার যুক্তি উপস্থাপন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামি মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম জামিন বাতিল করে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বুধবার (১ নভেম্বর) মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানার এক মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।