দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিলের সময় ১৫ ঘণ্টা করা হয়েছে; সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ থাকবে না। রোববার (৪ আগস্ট) থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ সময়সূচি অনুযায়ী কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এর আগে, শনিবার রাতে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি নতুন এ সময়সূচির ঘোষণা দেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা-সংঘাত দেখা দিলে ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে দেশে কারফিউ জারি করা হয়। পরে পরিস্থিতির উন্নতি হলে কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে। কারফিউ শিথিলের সময়ও বাড়ছে।
এর মধ্যেই রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি রয়েছে। শনিবার শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ‘এক দফার’ ডাকও দেওয়া হয় কোটা সংস্কার আন্দোলেনের শিক্ষার্থীদের এ প্ল্যাটফর্ম থেকে।
কারফিউ শিথিলের নতুন এ সূচি ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী এবং গাজীপুর জেলার জন্য। অন্য জেলাগুলোতে কারফিউ শিথিলের সময় ঘোষণা করছেন ডিসিরা।
এর আগের চার দিন বুধ থেকে শনিবার পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা; ১৩ ঘণ্টা।
কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ার সঙ্গে অফিসের সময়ও স্বাভাবিক সূচিতে ফিরছে।
মঙ্গলবার দুপুরেই সরকারের তরফে বলা হয়, বুধবার থেকে আগের মত স্বাভাবিক সময়ে অফিস খোলা থাকবে।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা আর কারফিউয়ের কড়াকড়ি কাটিয়ে ১২ দিন পর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সরকারের অফিসসূচির ঘোষণা আসে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আগের মত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে ১৮ জুলাই থেকেই স্থবির হয়ে পড়েছিল রাজধানীর জনজীবন। একের পর এক হতাহতের ঘটনা ও বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডব চলানোয় উদ্বেগ ছড়ায়।
পরদিন ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে দেশজুড়ে কারফিউ শুরু হয়। কারফিউর মধ্যে ২১ থেকে ২৩ জুলাই ছিল সাধারণ ছুটি।
পরে কারফিউ কিছুটা শিথিল করা হলে ২৪ জুন অফিস খোলে। ওই দফায় বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা অফিস কার্যক্রম চলে।
ধারাবাহিকভাবে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হলে এ সপ্তাহের রবি থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে গত সপ্তাহ থেকে স্বাভাবিক সূচিতে ফেরে অফিস।
দিনের বেশিরভাগ সময় কারফিউ না থাকায় স্বাভাবিক চিত্র ফিরছে জনজীবনে। রাজধানীসহ সারা দেশে গণপরিবহন চলাচল বেড়েছে। দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চও চলছে। বৃহস্পতিবিার থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু করবে।