সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে ছড়িয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করতে একসময় সংস্কৃতিকে চেপে ধরা হয়েছিল। এখন আর সে সময় নেই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অন্যান্য সবকিছুর মতো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলছে।”
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘তৃতীয় জাতীয় ক্যাম্পাস থিয়েটার ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।”
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংস্কারের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। এ চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে ছড়িয়ে দিতে হবে। সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলার মধ্যে থাকতে হবে। ইতিহাস সমৃদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে; যুবকদের সঙ্গে আছে।”
বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে ভীতি তৈরি করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করেছিলেন, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সেই বলয়কে বাড়াতে দেয়নি। তারা হত্যা, গুম, খুন, দুর্নীতি, লুটেরা, শায়খ আব্দুর রহমান, হাওয়া ভবন, গ্রেনেড হামলা, বলয় তৈরি করেছিল। আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক বলয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জাতির পিতাকে হত্যা করার পর আমাদের অর্জিত সংস্কৃতিকে ঘুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন সাংস্কৃতিক চর্চা ছিল না। ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। জাতির পিতার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এর একটিও কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।”
সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি ড. কামাল উদ্দিন শামীম এবং আহ্বায়ক হাবিব তাড়াশী।
‘শিল্পে মননে মুক্তিযুদ্ধ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে ৯-১৩ মার্চ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ও বাঙলা কলেজ যুব থিয়েটারের ব্যবস্থাপনায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে থিয়েটার উৎসব চলবে। দেশের ৫০টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উৎসবে অংশ নিচ্ছেন।