দেশকে সম্মানের সঙ্গে এগিয়ে নেওয়াই সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আজকের বাংলাদেশ কারও করুণা ভিক্ষা করে না, বিশ্বদরবারে এখন মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে। যেটা আমাদের লক্ষ্য ছিল সেটা অর্জন করতে পেরেছি।”
বুধবার (১ নভেম্বর) গণবভন থেকে ন্যাশনাল কার্ড স্কিম টাকা-পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের জাতীয় জীবন থেকে অনেকগুলো দিন নষ্ট হয়ে গেছে। কারণ ৭৫-পরবর্তীতে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় আসে, তারা বঙ্গবন্ধু যেখানে দেশটাকে রেখে গিয়েছিলেন, তারা সেটা ধরে রাখতে পারেনি।”
সরকারপ্রধান বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশ আবার পিছিয়ে পড়ে, মাথাপিছু আয় কমে যায়, প্রবৃদ্ধিও কমে যায়। দেশটা সম্পূর্ণভাবে পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে। অন্যের কাছে হাত পেতে চলাই ছিল যেন নিয়তি। যাহোক, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টাই ছিল দেশটিকে স্বনির্ভর করা। নিজেদের আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সম্মানের সঙ্গে এগিয়ে চলা। সেটি নিয়েই কাজ করে চলেছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে অর্থনীতির চাকা সচল থাকত না। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর ভবিষ্যৎ লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। টাকা-পে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলারই একটি পদক্ষেপ। টাকা-পের ফলে আর কারও ওপর নির্ভর করতে হবে না, পরনির্ভরশীল থাকতে হবে না।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় গত ১৪-১৫ বছরে আলাদা মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছে বাংলাদেশ। আমাদের লক্ষ্য এখন স্মার্ট বাংলাদেশে গড়ে তোলা, সর্ব ক্ষেত্রে সে পদক্ষেপ নিয়েছি।”