সরকারি ‘কোটা সংস্কার’ আন্দোলনের সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বিবৃতি দিতে ৬ সমন্বয়ককে জোর করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
সোমবার (২৯ জুলাই) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জোর করে বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে ‘গুজব’ উল্লেখ করে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “ডিবি কার্যালয় আস্থার জায়গা। সেখানে কাউকে জোর করে রাখা হয় না, অন্যায়-অত্যাচার করা হয় না, বিবৃতি নেওয়া হয় না। সমন্বয়করা বুঝেছেন এবং আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন, সরকার তাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। এজন্যই তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন।”
সমন্বয়করা কবে বাড়িতে ফিরবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, “তাদের সঙ্গে কথা বলছি, পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি, যেহেতু আমরা তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছি। খুব শিগগিরই তারা পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন।”
হারুন অর রশীদ বলেন, “তাদের পরিবারের সদস্যরা রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ও আজকে তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। সমন্বয়করা ভালো আছেন, তাদের স্বজনরা আমাদের ধন্যবাদও দিয়েছেন।”
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, “আমরা মনে করি, আমাদের ডিবি কার্যালয় মানুষের আস্থার জায়গা। মানুষ যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে বা আমরা নিয়ে আসি, আমরা তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করি।”
এর আগে রোববার রাতে ডিবি হেফাজত থেকেই সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক। তাদের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, “কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে আহত-নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাই। আমাদের প্রধান দাবি ছিল, কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।”
লিখিত বার্তায় স্বাক্ষর করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম।