কোটা সংস্কার আন্দোলনে জুলাইয়ে যে দেশে গণহত্যা চালানো হয়েছে তার বিচার দেশের প্রচলিত আইনেই সম্ভব বলে জানিয়েছেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় হাইকোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বলেন, “বুধবার আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জুলাইয়ে গণহত্যার অভিযোগে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। যেখানে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পুলিশ, র্যাব ও মন্ত্রীপরিষদের কয়েকজনকে। ঘটনার মেয়াদ দেওয়া হয়েছে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং এই আন্দোলনকে সমর্থন করে এ সমস্ত সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন, তাদেরকে গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত করার আবেদন জানিয়েছি।”
তামিম আরও বলেন, “তদন্ত সংস্থা এই অভিযোগকে একটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে।”
এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২০১৩ সালে সংশোধিত ট্রাইব্যুনালের আইনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চালানো গণহত্যার বিচার সম্ভব বলে জানিয়েছেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “গণহত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিচারের জন্য ইতিমধ্যে কিছু মামলা হয়েছে। আমরা নিজেরা, রাজপথে থাকা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠী দাবি করেছেন যে, এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করার সুযোগ আছে কিনা। আমরা সেটা খতিয়ে দেখেছি।”