রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলার লাউতলা ও রামচন্দ্রপুর খালের ময়লা পরিষ্কার অভিযানে গিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি।
এগুলোর মধ্যে একটি ১০তলা নির্মাণাধীন ভবন রয়েছে, যার ৭০ শতাংশই গড়ে তোলা হয়েছে খালের জায়গায়। এছাড়া আরও দুইটি ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় লাউতলা খাল ও রামচন্দ্রপুর খাল পরিষ্কার শুরু করে ডিএনসিসি। বেলা ১১টার দিকে রামচন্দ্রপুর ও লাউতলা খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হয়। প্রথমে খালের মোহনার জায়গা দখল করে বানানো একটি আধপাকা ও একটি পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর শুরু হয় খালের পাড়ে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন ভাঙার কাজ। ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা খালের সীমানা মেপে দেখেন নির্মাণাধীন ভবনটির ৭০ শতাংশই খালের জায়গায় বানানো। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনটির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয় ডিএনসিসি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ছয়টি বিশেষ বুলডোজার ও এক্সকেভেটরসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অবৈধ ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়।
খালের সীমানায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবন ভাঙার কাজ চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
খাল উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “ময়লা ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলোর আগের রূপে ফেরানো হবে। পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি। পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, রাস্তাঘাট ডুবে যায়। কারণ খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না। ময়লা ফেলে খালগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। খাল পুনরুদ্ধারে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।”
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, “এর আগে মিরপুর প্যারিস খাল, সূতিভোলা খালে অভিযান চালিয়েছি। গত দুইবছর আগে এই মোহাম্মদপুরেই লাউতলা খালে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে আমরা গাছ লাগিয়েছি। সেখানে এখন সবুজায়ন হয়েছে। পাশেই বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে একটি মাঠ নির্মাণ করে দিয়েছি। আজ রামচন্দ্রপুর খালে অভিযান শুরু করেছি। এটি প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ও প্রায় ১০০ ফুট প্রশস্ত খাল। খালের সীমানার ভেতরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।”