ইসরায়েলি আগ্রাসনে হতাহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদ। এদিন একই সঙ্গে তিন সংসদ সদস্যের মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করা হয়।
রোববার (২২ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
শোক প্রস্তাব উত্থাপন করে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “গাজাসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য স্থানে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর সাম্প্রতিক বর্বরোচিত হামলায় নিহত শিশু ও হতাহতদের স্মরণে মহান জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ, বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।”
এ ছাড়াও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের এ কে এম শাহজাহান কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আব্দুস সাত্তার ও পটুয়াখালী-১ আসনের এম শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে শোক জানায় জাতীয় সংসদ।
সংসদে সর্বসম্মতভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এর আগে শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের এমপিরা বক্তব্য দেন। পরে সংসদে এক মিনিট নীরবতা ও দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়া মরক্কো ও আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা, ভারতের সিকিমে ভারি বর্ষণ ও বন্যা এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে মহান জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশসহ বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করে।
শোক প্রস্তাবের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “এবারের সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিনটা আমাদের শোক প্রস্তাব নিতে নিতেই সময় গেল। এটা সব থেকে দুঃখজনক।”
তিনি বলেন, “একে একে আমরা অনেক সদস্যকে হারিয়েছি। করোনাকালে আরও অনেককে হারিয়েছি। এবার তিনজন সদস্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের বয়স হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভোটের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এ কে এম শাহজাহান কামাল ও এম শাহজাহান মিয়া যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সবাইকে মরতে হবে জানি। তারপরও সংসদের শেষ বেলায় এসে একে একে অনেকেই চলে যাচ্ছেন, যা আমাদের জন্য খুব কষ্টের।”