মূল সড়ক থেকে নিচু জায়গায় অবকাঠামো হওয়ায় রাজধানীর নিউমার্কেটে কয়েক ঘণ্টার জলাবদ্ধতায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের টানা ভারী বৃষ্টিপাতে সড়কের পানি ও ভেতরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় তৈরি হয় এই জলাবদ্ধতা। দোকানে পানি ঢুকে ভেতরে থাকা বিভিন্ন কাপড়, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, কুশন, বালিশ, লাগেজ, ক্রোকারিজসহ নানা ধরনের ব্যবহার সামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউমার্কেটের ভেতরে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা মালামাল মার্কেটের ভেতরে খালি জায়গায় ও ছাদে রোদে শুকাচ্ছেন। মার্কেটটির দোকান ও শোরুমে পানি ঢুকে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
ভিজে যাওয়া কাপড় ছাদে শুকাচ্ছেন ব্যবসায়ী আল আমিন হোসেন। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “পানি নিষ্কাশনে যথাযথ ব্যবস্থা নেই নিউমার্কেটে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি আমাদের কাছে আতঙ্কের নাম। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এই মালগুলো শুকিয়েও বিক্রি করতে পারব না।”
বিদেশি ব্যাগের শোরুমের মালিক ইদ্রিস আলী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দোকানে পানি ঢুকে নিচে থাকা প্রায় পাঁচ লাখ টাকার লাগেজ ও ট্রলি ব্যাগ ভিজে গেছে। এই ব্যাগগুলোর ভেতরে থাকা ফোম নষ্ট হয়ে গেছে। জানি না কি করে আবার ঘুরে দাঁড়াব।”
আরেক কাপড়ের ব্যবসায়ী আকবর হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দোকানে পানি ঢুকে অনেক কাপড়চোপড় নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক কিছুই নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টির পরদিনও পানি জমে ছিল। মার্কেটের জলাবদ্ধতা নিয়ে যেন সিটি করপোরেশন বা কারও মাথা ব্যথা নেই।”
নিউমার্কেট বণিক সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দীর্ঘ কয়েক বছর পরে নিউমার্কেটের ভেতরে জলাবদ্ধতা হলো। তাই ব্যবসায়ীদের কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। অন্যান্য সময়ে বৃষ্টিতে মার্কেটের ভেতরে পানি নিষ্কাশন হলেও এবার বাইরের প্রধান সড়কের পানি ডুবে ভেতরে প্রবেশ করায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।”
আমিনুল ইসলাম শাহীন আরও বলেন, “দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকায় দোকানগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য দোকানের ডেকোরেশন নষ্ট হয়েছে। যে মালামাল পানিতে নষ্ট হয়েছে তা বিক্রির উপযোগী হলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।”