• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সারা দেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
সারা দেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, দোষীদের গ্রেপ্তার ও সেনাবাহিনী মোতায়েন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। 

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ব্লকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা জানেন গতকাল শনিবার থেকে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আমাদের তিনজন চিকিৎসককে নিউরোসার্জারি বিভাগ থেকে মারতে মারতে প্রশাসনিক ব্লকের পরিচালকের রুমে নিয়ে আসা হয়। সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বহিরাগতরা এসে হাসপাতালে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) এসে ভাঙচুর চালায়।”

আব্দুল আহাদ আরও বলেন, “এরকম ঘটনা যদি প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায় আমরা রোগীদের কীভাবে চিকিৎসা সেবা দেবো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। যেখানে আমাদের নিরাপত্তা নেই সেখানে আমরা কীভাবে চিকিৎসা দেব।”

নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আরও বলেন, “অনতিবিলম্বে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সব উপজেলা, জেলা সদরসহ সব হাসপাতালে আর্মি নিয়োগ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ করতে হবে।”

সার্জন আব্দুল আহাদ বলেন, “আমাদের কর্মবিরতি চলবে। শুধু ঢাকা মেডিকেলেই কর্মবিরতি নয় সারা বাংলাদেশে এই কর্মবিরতি চলবে। দুপুর দুইটায় হাসপাতালের বাগান গেটে জমায়েত হব। সেখানে সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া হবে। আপাতত আমাদের কর্মবিরতি চলবে অর্থাৎ কমপ্লিট শাটডাউন।”

আব্দুল আহাদ আরও বলেন, “পরিচালক আমাদের নিশ্চিত করেছিলেন আমাদের ওপরে কোনো হামলা হবে না। কিন্তু তিনি তার সেই কথা রাখতে পারেননি। এখানে আমরা কোনো সেনাবাহিনীকে অস্ত্রসহ দেখতে পাইনি।”

এর আগে পরিচালক চিকিৎসকদের উদ্দেশে সভাকক্ষে বলেন, “আন্দোলনে যেন রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।” 

চিকিৎসকরা সেটি কর্ণপাত না করে চিকিৎসকরা জানান, “আমরা কোনো চিকিৎসা দেব না, এই বলে তারা বেরিয়ে আসেন।”

Link copied!