কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনে উসকানি দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আন্দোলনে নিহত রিয়ানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন।
বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
এ ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে তারা হলেন-সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, হাসানুল হক ইনু, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আতিকুল ইসলাম, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান হারুন-আর-রশীদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক র্যাবপ্রধান মো. হারুন আর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, জিয়াউল আহসান, আদাবর থানার সাবেক ওসি মো. মাহাবুব রহমান, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আইনজীবী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব নাঈমুল ইসলাম খান প্রমুখ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০ থেকে ৪৯ নম্বর আসামিরা আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যাকে বৈধতা দিতে প্ররোচনা ও উসকানি দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাদের দাবি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে মিথ্যা খবর প্রচার করেছেন।
পাশাপাশি আহত ও নিহতদের সঠিক তথ্য গোপনের উদ্দেশ্যে টকশো, কলাম লিখে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সত্য আড়াল করে গুজব ও মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছেন।