চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি নিয়ে যে ‘যুক্তি’ দেখালেন কমিটির আহ্বায়ক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি নিয়ে যে ‘যুক্তি’ দেখালেন কমিটির আহ্বায়ক
চাকরিপ্রত্যাশীদের বিক্ষোভ। ফাইল ফটো

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে সুপারিশ দিতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।

বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে তুলে ধরে আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, “এই কমিটির প্রধানত একটাই ফোকাস, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে। এটার ভিত্তিতে সরকার আমাদের ৫ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। আমাদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, “বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”

কী যৌক্তিকতা আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, “কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।”

চাকরিতে ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরতরা। তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকও করেন। পরে ওইদিনই চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়।

সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সদস্য সচিব।

কমিটিতে সাবেক যুগ্ম-সচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

Link copied!