গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কিউরেটর, শিক্ষক, লেখক ও ফিল্ম মেকার ড. এবাদুর রহমানকে। কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম।
কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মুসতাইন বিল্লাহ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদ সবুজ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. নুরুল মোমেন ভূঁইয়া; আলোকচিত্রী, শিক্ষক ও শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব; লেখক ও গবেষক সহুল আহমেদ মুন্না; স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম; বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক; আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি; গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী; স্থাপত্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া; ইন্সটিটিউট অভ্ আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি; নকশাবিদ আর্কিটেক্টসের লিড আর্কিটেক্ট বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার; ডিজাইন ওয়ার্কস গ্রুপের আর্কিটেক্ট তানজিম হাসান সেলিম।
শনিবার (২ নভেম্বর) জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত জুলাই-আগস্টজুড়ে রাজধানীসহ সারা দেশে পতিত আওয়ামী সরকারের নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হবে গণভবনে। আয়নাঘরের রেপ্লিকা হবে। এখানে একটি গবেষণা কেন্দ্রও থাকবে। পরবর্তীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এ জাদুঘর সংরক্ষিত থাকবে।”
এদিকে শিগগিরই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজ সম্পন্ন হবে, এরপরই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
মাহফুজ আলম বলেন, “দেশের ১৬ কোটি মানুষের কষ্ট ও গৌরবের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের প্রতীক এই গণভবন। এর ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”