বাংলাদেশের উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এছাড়া উপকূলের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূর্যের আলোর দেখা মেলেনি। জেলাগুলোর সড়কে কম রয়েছে যান চলাচল। মাছ ধরা জেলেরাও তীরে ফিরতে শুরু করেছেন।
এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরের পরই বাংলাদেশের উপকূলের দিকে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মিধিলি’ (MIDHILI)। এ নাম মালদ্বীপের দেওয়া। তবে এটি বড় ঘূর্ণিঝড় হবে না বলেই আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় আছে। এটি বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি সারাদেশে শীত নামিয়ে আনতে কিছুটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা। তিনি জানান, নিম্নচাপ কেটে যাওয়ার পর কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ মাসের শেষ দিকে আবার একটি নিম্নচাপ হতে পারে