• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বন্ধ খলিলের গোস্ত বিতান, ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
বন্ধ খলিলের গোস্ত বিতান, ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা
পূর্ব ঘোষণা ছাড়া দোকান বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন মাংস কিনতে আসা মানুষ। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় এসেছিলেন মো. খলিলুর রহমান। তার দোকান সাধারণত রোববার বন্ধ থাকে। কিন্তু সরেজমিনে শনিবার (২৩ মার্চ) গিয়ে দেখা যায়, বন্ধ রয়েছে খলিলের গোসত বিতান। দোকানের সামনে ঝুলছে শনি ও রোববার বন্ধের নোটিশ। এদিকে পূর্বঘোষণা ছাড়া দোকান বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন মাংস কিনতে আসা মানুষ।

খলিলের গোসত বিতানে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে মাংস কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। রাজধানীর শান্তিবাগ থেকে আসা মো. আতিকুল রহমান নামের এক ক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমি এর আগে যেদিনই এসেছি সেদিনই দোকান খোলা পেয়েছি। কখনও বন্ধ থাকতে দেখনি। তবে আজ মাংস কিনতে এসে দেখি শনিবার ও রোববার মাংস বিক্রি বন্ধ থাকবে। কষ্ট করে শান্তিবাগ থেকে এসে ঘুরে যাবো ভাবিনি।”

এতদিন ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করেছিল খলিল গোসত বিতান। কিন্তু হঠাৎ করেই কেজি প্রতি ১০০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে হতাশা প্রকাশ করে এই ক্রেতা আরও বলেন, “৫৯৫ টাকায় মাংস কিনতে পেরে আমরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। তবে হুট করে মাংসের কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ায় কষ্ট লাগছে।”

আমেনা বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “এর আগে একদিন শুধু রোববার দোকান বন্ধ থাকত। কিন্তু আজ এসে দেখি শনিবার ও রোববার দোকান বন্ধ। কষ্ট করে  মাংস কিনতে এসে ঘুরে যাবো আশা করিনি।”

এদিকে ঘোষণা ছাড়াই দোকান বন্ধ থাকার কোনো কারণ জানেন না খলিল গোসত বিতানের কর্মচারীরা। কারণ জানতে খলিলুর রহমানের সঙ্গে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

খলিলের দোকানে কাজ করা মো. জুয়েল নামের এক কর্মচারী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমাদের গোডাউনে এখনও গরু আছে। তবে আজ কাটা হয়নি। মহাজন আমাদের গতকাল বলে দিয়েছেন শনিবার ও রোববার গোসত বিক্রি বন্ধ থাকবে। তবে কী কারণে বন্ধ থাকবে সে বিষয়ে মহাজন আমাদের কিছু জানায়নি।”

Link copied!