ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত রাকিবসহ অন্য আহত শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন। ঢাবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক মামুন এবং হামলায় জড়িত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দাবি তুলেছেন তারা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব দাবি জানান আহত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে উল্লেখ করেন-
১. আইনশৃঙ্খলা অবনতি করে পরিকল্পিতভাবে হামলার দায় সংশ্লিষ্ট সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্পটে হামলার নেতৃত্ব দেওয়া সবাইকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. যেহেতু প্রো-ভিসি মামুনের অসদাচরণের কারণে এই মব সৃষ্টি হয়, যার ফলে শিক্ষার্থীরা আহত হন, তাই প্রো-ভিসিকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে।
৩. পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আওয়ামী প্রেতাত্মারা হামলার পরিকল্পনা করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার করতে হবে।
৪. যেসব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো সমস্যা যেন না হয় সেই দিকে ইউজিসি এবং সরকারের দৃষ্টি রাখতে হবে।
৫. অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো গত রূপরেখা সরকারকে বন্দোবস্ত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে সরিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। গত ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে এ নিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিব গুরুতর আহত হন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পুলিশের মারধরে রাকিব আহত হন।