• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩০, ৯ রজব ১৪৪৬

ধেয়ে আসছে দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
ধেয়ে আসছে দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ

পৌষের এখন শেষ সপ্তাহ চলছে। মাঘ আসতে এখনো সপ্তাহখানেক বাকি। শীতের এই মৌসুমের মধ্যবর্তী দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহে কাঁপবে গোটা দেশ। দেশের অর্ধেকের বেশি অঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে আসবে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাবে চারপাশ। কুয়াশার চাদরে ঢাকার কারণে দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিলবে না।

এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, বুধবার (৮ জানুয়ারি) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তাপমাত্রা হ্রাসের এই প্রবণতা থাকবে আগামী এক সপ্তাহ ধরে। ফলে দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। যা চলতি শীত মৌসুমের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহ ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণও দ্রুত বাড়ছে। কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ আগামী কয়েক দিনে দ্রুত বাড়তে পারে। আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।

আবহওয়া অফিস বলছে, এবারের শীত মৌসুমের সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডায় কাঁপবে গোটা দেশ। দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। কুয়াশা বেশি থাকায় দিনের বেলায় সূর্যের দেখা নাও পাওয়া যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শৈত্যপ্রবাহ উত্তরাঞ্চলের রংপুর, রাজশাহী বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। ফলে উত্তরাঞ্চল ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি থাকতে পারে। পাশাপাশি সিলেট বিভাগেও শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর তাপমাত্রা প্রতিদিন ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ফলে দিনে শীতের অনুভূতি কমেছে। তবে আগামী পাঁচ–ছয় দিন তাপমাত্রা আবারও ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকবে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। অর্থাৎ শীত প্রায় বিদায় নেওয়ার মতো আবহাওয়া দেখা দেয়। দেশের অন্যান্য জেলায়ও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।

Link copied!