ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পাশে চীন থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেছেন, “পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এসব কথা বলেন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, “আন্তর্জাতিক ফোরামে সকল ইস্যুতে চীন বরাবরের মতোই বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে থাকে। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে সফর বিনিময় ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে দুই দেশের সংসদ সদস্যরা গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে।”
ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক ফোরামে সকল ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয় চীন।”
এসময় স্পিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার রক্ষার্থে তাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের কথা স্মরণ করে শিরীন শারমিন চৌধুরী রাষ্ট্রদূতকে জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফর এবং তার অভিজ্ঞতা তিনি পরবর্তীতে লিপিবদ্ধ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী মন্তব্য করে স্পিকার বলেন, “চীন ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, পদ্মা সেতু নির্মাণে কারিগরি সহায়তা, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সহায়তা, কোভিডকালীন সিনোফার্ম ভ্যাক্সিন সহায়তা ইত্যাদিসহ চীন সর্বদা বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।”
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন, সফর বিনিময় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।