• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজধানীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ১১:২০ এএম
রাজধানীতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
ভোরে ধানমন্ডি ৩২-এ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষণার পর রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনের সামনে মিছিলটি করে সন্ত্রাসী আইনে নিষিদ্ধ সংগঠনটির ১০ থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মী।

জানা গেছে, মিছিলটি ধানমন্ডি ৩২ হয়ে শুক্রাবাদ-সোবহানবাগ মোড় ঘুরে আবার ৩২ নম্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জনি, সহ-সভাপতি ওয়ালিউল সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কৃষি সম্পাদক মোহাম্মদ হুসেন, উপশিক্ষা সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, বিজ্ঞান বিষয়ক উপ-সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উপগণশিক্ষা সম্পাদক মোস্তাকিম হোসেন রিয়াদ, উপ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা ও সাবেক সহ-সম্পাদক লাভলু,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তামজিদ ভূঁইয়া মেঘ, মাস্টার্স দা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শৈশব অংশ নেন। 

এর আগে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণ-যৌন নিপীড়ন এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে গেজেট জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। গেজেটে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতাপরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

গেজেটে বলা হয়, সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করলো। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

Link copied!