সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাস, বিভিন্ন হল ও রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থীদের হটিয়ে দিচ্ছে ছাত্রলীগ।
হল সূত্রগুলো বলছে, ঢাবির সূর্যসেন হল, কবি জসীম উদ্দীন হল, বিজয় একাত্তর হল ও মল চত্বরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা পরে ভিসির বাসভবনের সামনে জড়ো হন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অপমান করার প্রতিবাদে বিকাল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনেই অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয় ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা তাদের হলের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। বিকেল চারটার দিকে তাদের হটিয়ে দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এসময় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। তাদের অনেককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে ছাত্রলীগের ধাওয়ায় পলাশীর দিকে চলে যান ঢাবির কোটাসংস্কার আন্দোলনকারীদের একাংশ। আরেকটি অংশ জগন্নাথ হল ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে চলে যান।
বিকেল চারদিকে, ভিসি ভবনের সামনে থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা ফুলার রোড হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের দিকে চলে যান।
এর আগে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে হকিস্টিক, রড, স্টাম্প নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই হেলমেট পরেছিলেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের কর্মসূচির একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিজয় একাত্তর হলে এক আন্দোলনকারীর ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হামলা প্রতিহত করতে বিশাল মিছিল নিয়ে বিজয় একাত্তর হলের দিকে এগিয়ে যান।
পরে হলের সামনে পৌঁছুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ার মুখে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীদের একাংশ বিজয় একাত্তর হলে আশ্রয় নেন। এদিকে মহসিন হল ও মুধুর ক্যান্টিন থেকেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।