কৌশলে এটিএম কার্ড বদলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার হলো শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ ও মামুন মাতুব্বর। শহিদুলকে এর আগে চারবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে ডিবি।
ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, গত ১৪ জুন দুপুরে আতাউর রহমান নামে এক ব্যক্তি স্ত্রীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য। পরে সেখানকার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা তুলতে ঢোকেন। বুথে আগেই অবস্থান করছিল শহিদুল। সে সহায়তার কথা বলে কৌশলে এটিএম কার্ডটি বদলে অন্য একটি কার্ড দিয়ে চলে যায়। এরপর আরেকটি বুথে গিয়ে ওই কার্ড ব্যবহার করে একাধিকবারে ১ লাখ টাকা তোলে। এদিকে, প্রতারকের দেওয়া কার্ডটি আতাউর মেশিনে প্রবেশ করালে সেটি আটকে যায়। তিনি টাকা তুলতে না পারলেও কিছুক্ষণ পর মোবাইল ফোনে টাকা তোলার খুদেবার্তা পেতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ব্যাংকের হেল্প লাইনে কথা বলে জানতে পারেন, তার কার্ড ব্যবহার করেই ওই টাকা তোলা হয়েছে। পরে তিনি শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর হলে সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় কার্ড প্রতারণায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দুটি এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
ডিবি প্রধান জানান, এটিএম বুথে টাকা তুলতে যাওয়া নারী ও বৃদ্ধদের টার্গেট করত চক্রটি। এরপর সহায়তার নামে মেশিনে কার্ড প্রবেশ করানোর পর পিন নম্বর দিতে বলে। এই সুযোগে পিন নম্বর জেনে কার্ডটি বদল করে তাদের হাতে থাকা কার্ড দিয়ে বুথ থেকে চলে যায়। যেসব বুথে নিরাপত্তকর্মী অন্যমনস্ক বা অনুপস্থিত, সেসব বুথ টার্গেট করে তারা। অনেক সময় নিরাপত্তাকর্মীর সহায়তাও তারা বুথে অবস্থান করে। ঝামেলা এড়াতে বাইরের সবকিছু খেয়াল রাখে মামুন।