ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কোনো গাড়ির বিরুদ্ধে তিনবার মামলা হলে সেটি আর কখনো এই সড়ক ব্যবহার করতে পারবে না।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) কোম্পানি লিমিটেডের যানচলাচল, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
হাসিব হাসান বলেন, “আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওভার স্পিডিংয়ের কারণে ভিডিও মামলা দেবে পুলিশ। আমরা তাদের ওভারস্পিডিংসহ সব ধরনের অপরাধের ভিডিও সরবরাহ করব। তারা ওই গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বেশকিছু নীতিমালা আছে। ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলে নিরাপদ ও দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে নীতিমালাগুলো ব্যবহারকারীদের মানতে হবে।”
নীতিমালাগুলো হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের গতি নির্ধারিত গতিসীমার মধ্যে থাকতে হবে; ভিডিও নজরদারির মাধ্যমে গতিসীমা রেকর্ড করা হবে। নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করলে স্পিড ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও মামলা করা হবে। বেপরোয়া গতিতে যান চলাচল করলে এবং একই গাড়ি তিনবারের বেশি গতিসীমা লঙ্ঘন শনাক্ত হলে ভবিষ্যতে ওই গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। সুশৃঙ্খল ট্র্যাফিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সবসময় নির্ধারিত লেনের মধ্যে গাড়ি চলাচল করতে হবে, সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া লেন পরিবর্তন করা হলে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি থামানো বা পার্কিং কঠোরভাবে নিষেধ করা হচ্ছে।
এছাড়া টোল প্লাজা, টোল সংগ্রহের বুথ, লেন এবং এক্সপ্রেসওয়ের অবকাঠামোগত যেকোনো ক্ষতির জন্য যানবাহনের মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী নামানো, যানবাহন থেকে জিনিসপত্র (যেমন টোল টিকেট, টিস্যু পেপার) এক্সপ্রেসওয়েতে ছুড়ে ফেলা, গাড়ি ড্রাইভিং করার সময় মোবাইল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধসহ আরও বেশ কিছু নীতিমালা রয়েছে।