শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার কাজ শেষ হয়েছে। এখন থেকে আর কোনো প্রার্থী জনসভা, পথসভা মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না। এখন শুধু ৭ জানুযারি পর্যন্ত ভোট গ্রহণের অপেক্ষা। তবে এ সময়টুকু বিভিন্ন প্রার্থীর কর্মীরা কাজে লাগাচ্ছেন ভোটারদের ভোটদানে সুবিধার জন্য।
রাজধানীর বিভিন্ন আসনে প্রার্থীদের কর্মীরা কেন্দ্রভিত্তিক ভোটার তালিকা বাছাই, নাম ও ভোটার নম্বরসহ স্লিপ তৈরি করে ভোটারদের বাসায় বাসায় গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। পাশাপাশি ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে নানাভাবে উদ্ভুদ্ধ করার কাজও চলছে। এ ছাড়া ভোট গ্রহণের আগ পর্যন্ত বুথের এজেন্ট নির্বাচন, সমর্থকদের কেন্দ্রে আনার তাগিদসহ রয়েছে আরও নানান কাজ।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) শরীফুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২(আরপিও) এর ৭৮ ধারায় নির্বাচন প্রচারের সময়সীমায় বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা এবং ভোট গ্রহণ শেষের ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় জনসভা আহ্বান, অন্য কারও জনসভায় অংশ নেওয়া যাবে না। এমনকি মিছিল, শোভাযাত্রা বা এ ধরনের কোনো কর্মসূচির আয়োজন বা অংশগ্রহণ কোনোটিই করা যাবে না।
তিনি জানান, ৭ জানুযারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। তার আগের ৪৮ ঘণ্টা হিসেবে শুক্রবার সকাল ৮টায় সব ধরনের প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। এখন আর ভোট চেয়ে মাইকিংও করা যাবে না।
প্রচারকাজের শেষের দিন বৃহস্পতিবার ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকেরা। তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছেন।
এদিকে নওগাঁ -২ আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই আসনের ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। যে কারণে এখন দেশের মোট ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুযারি।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২৯৯ আসনে ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকে তারা নিজ নিজ এলাকায় এত দিন প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনী মাঠে লড়াই করছেন ১ হাজার ৫৩৪ প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছে ৪৩৬ জন। ইতিমধ্যে ভোটের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শুক্র ও শনিবার সরকারি ব্যাংক খোলা রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।