কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতনের আন্দোলন এবং তার পরবর্তী সময়ে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে সবার কাছে তথ্য চেয়েছে জাতিসংঘের ফ্যাক্টফাইন্ডিং দল।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একটি ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে সেখানে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সাম্প্রতিক বিক্ষোভের কারণে উদ্ভূত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে। ফ্যাক্টফাইন্ডিং দল সত্য উদ্ঘাটন, দায়দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও তাদের পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট সময়কালের মধ্যে বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য প্রদানের জন্য সব ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দলটি সেই সব তথ্যের জন্য অনুরোধ করছে, যা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া যাবে না এবং প্রকাশিত বা প্রচারিত হয়নি। [email protected] এই ই-মেইলে তথ্য জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্ত দল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসা পেশাজীবী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের পরিকল্পনা করেছেন। ফ্যাক্টফাইন্ডিং তদন্তটি কোনো অপরাধ অনুসন্ধান বা আইনি তদন্ত নয়। এটি যেকোনো জাতীয় ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালিত।
এই তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে গোপনীয়। তদন্ত চলাকালীন, তদন্ত দলের সদস্যরা কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন না। তারা সবাইকে তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। ঘটনাস্থলে পরিচালিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উপাত্ত বিশ্লেষণের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস তদন্তের প্রধান বিষয়, উপসংহার ও সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।