• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে ঢাকা-থিম্পুকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে ঢাকা-থিম্পুকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক। ছবি : পিআইডি

আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভুটানের যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পাশাপাশি ঢাকা-থিম্পুকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বঙ্গভবনে ঢাকা সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, “দুই দেশ নিজ নিজ দেশের শক্তি ও অগ্রাধিকারকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পারে।”

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিবাচক হয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, সংযোগ, কৃষি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।”

সার্ক, বিমসটেক, এসএসইসি এবং বিবিআইএন-এর মতো আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সহযোগিতার জন্য ভুটান ও বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।

৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা ও রানী জেটসুন পেমার এখন চার দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় রয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে মার্চের এই ঐতিহাসিক মাসে ভুটানের রাজার বাংলাদেশ সফরের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন গভীর ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে দুই সরকারই যৌথভাবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

ভুটানের রাজা বাংলাদেশে উৎপাদিত তৈরি পোশাক, সিরামিক ও ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের গুণগত মানের প্রশংসা করেন। তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে ভুটানের পক্ষে দেশটির শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ডিএন ধুংগেল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতসহ সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!