• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পার্বত্য চট্টগ্রামে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০১:০৮ পিএম
পার্বত্য চট্টগ্রামে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা নামে একটি সংগঠন। 

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় এক সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।  

সমাবেশে বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টা পার্বত্য ৩ জেলায় সড়ক ও নৌ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় দীঘিনালায় এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও সামরিকায়ন বন্ধের দাবিও জানানো হয়।

কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা টিএসসিতে এসে জড়ো হতে শুরু করে। পরে তারা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

দীঘিনালায় সংঘাত: শাহবাগ মোড় অবরোধ, বিক্ষোভদীঘিনালায় সংঘাত: শাহবাগ মোড় অবরোধ, বিক্ষোভ
এসময় নানা স্লোগানে টিএসসি এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। সংবিধানে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর, পর্যটনের নামে ভূমি দখলের প্রতিবাদ জানান তারা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে আরও শক্তিশালী করার দাবিও ওঠে। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে যান।

পরে বেলা পৌনে ১২টার পর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। এ সময় কিছু সময় শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।

বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। লারমা স্কয়ারে অন্তত ৬০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে মামুন নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে আগুন দেওয়া হয়। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৬০টি দোকান।

শুক্রবার সকালে এই সংঘর্ষের রেশ ছড়িয়ে পড়ে রাঙামাটিতেও। 

Link copied!